অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ রাশিয়ার অবকাশ কেন্দ্র সোচি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ০৫:২৫ মিনিটে উড্ডয়নের ২ মিনিট পরেই উড়োজাহাজটি রাডার থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। টুপোলেভ-১৫৪ নামের সামরিক বিমানটি রাজধানী মস্কো থেকে যাত্রা শুরু করে। জ্বালানি নিতে এটি সোচির এডলার বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সরকার ওই বিমানের আরোহীদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে আটজন সেনাসদস্য, নয়জন সংবাদকর্মী, বিমানের আটজন ক্রু এবং রুশ সেনাবাহিনীর একটি বিখ্যাত সঙ্গীতদল আলেক্সান্দ্রভ-এর ৬৪ জন সদস্য ছিলেন। তাঁরা সিরিয়ার লাটাকিয়ায় রুশ ঘাঁটিতে নববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মানবাধিকারকর্মী ফেয়ার এইড চ্যারিটির নির্বাহী পরিচালক এলিজাভেতা গ্লিংকা এবং দুইজন সরকারি কর্মকর্তাও ছিলেন বিমানটিতে।
কৃষ্ণ সাগরে দুর্ঘটনার স্থানটি স্পষ্টভাবেই চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চলার বিষয়ে বর্ণনা করেন। এ মুহূর্তে একশো জনেরও বেশি ডুবুরি অবিরাম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
তিনি এখানে বলছেন যে, “টিইউ-১৫৪ বিমানটির সম্ভাব্য সুস্পষ্ট অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। সোনার ও স্ক্যানার বিশিষ্ট জলযানগুলি সাগরের একদম তলদেশ পর্যন্ত খুঁজে দেখছে। সামরিক কার্গো বিমানগুলিতে আরো ডুবুরীরা পার্শ্ববর্তী ঘাঁটিগুলো থেকে আসতে শুরু করেছে। মনুষ্য বিহীন ডুবোজাহাজ ফ্যালকন এবং টাইগার অল্প সময়ের মধ্যেই এডলার বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবে। রাশান জিও-গ্রাফিক্যাল সোসাইটির দুটি ডুবোজাহাজও দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।”
সোচি উপকূল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ৫০ থেকে ৭০ মিটার গভীরে এর ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।
রুশ গণমাধ্যমের প্রচার করা একটি অডিও রেকর্ডে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারীদের শেষ কথাবার্তা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা শুনে কোনো সমস্যার ইঙ্গিত মেলেনি। দুর্ঘটনাস্থলে বিমান চলাচলের পরিবেশ অনুকূলেই ছিল।
দুর্ঘটনার তদন্ত করতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি রাষ্ট্রীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে সরকার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে লাটাকিয়ার ওই রুশ বিমানঘাঁটি থেকেই সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানো হয়।
সূত্র, বিবিসি বাংলা